ওয়েব ডেস্ক: লোকসঙ্গীতের জনপ্রিয় মুখ এবং বিজেপির (BJP) নবীন প্রার্থী মৈথিলী ঠাকুর (Maithili Thakur) প্রথমবার ভোটের ময়দানে নেমেই জমিয়ে দিয়েছেন লড়াই। আলিনগর বিধানসভায় গণনার শুরু থেকেই তিনি এগিয়ে, যা শুক্রবার সকালেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
মাত্র এক মাস আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ২৫ বছরের এই গায়িকা শুরু থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনীতিতে তাঁর লক্ষ্য শুধু মানুষের সেবা। ভোটের আগে ও পরে একই বার্তাই দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিহারের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে কে এগিয়ে? কে পিছিয়ে?
এক্সিট পোল এনডিএ-র জয়ের ইঙ্গিত দেওয়ার পর মৈথিলী জানান, জয়-পরাজয় নিয়ে তাঁর কোনও উদ্বেগ নেই। গত ৩০ দিনের মানুষের কাছে যাওয়া-আসার অভিজ্ঞতাকেই তিনি জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, “আমি এক সেকেন্ডও ভাবি না জিতব কি হারব। এই এক মাসে মানুষের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতেই আমি সমৃদ্ধ। এখান থেকেই তাঁদের পাশে থাকতে চাই। মানসিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত আমি।”
প্রথমবার ভোটযুদ্ধে নামা নিয়ে মৈথিলী আরও বলেন, “জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত এটি। বই-খাতা আমাকে যতটা শেখাতে পারেনি, মানুষের মাঝে থেকে সেই ৩০ দিন আমাকে ততটাই শিখিয়েছে। এই এক মাস আমার জীবন বদলে দিয়েছে।”
সংস্কৃতি ও লোকসঙ্গীতকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্নও তিনি বারবার জানিয়েছেন। বিদেশে যাওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন—নিজের এলাকার পরিচয় ও সঙ্গীতকে আরও বড় মঞ্চে পৌঁছে দেওয়াই তাঁর উদ্দেশ্য।
রাজনীতিতে আসার পিছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিত্ব তাঁর অনুপ্রেরণা বলেও জানান মৈথিলী। “মোদীজি যুবসমাজের অনুপ্রেরণা। তাঁর নেতৃত্বে কাজ করতে পারা সৌভাগ্য।” আলিনগরে তাঁর এগিয়ে থাকা ইতিমধ্যেই বিজেপি শিবিরে উচ্ছ্বাস বাড়িয়েছে। তরুণ এই শিল্পীর উত্থান বিহারের নির্বাচনী ময়দানে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
দেখুন আরও খবর:







